যারা মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন, চিনি তাঁদের প্রিয় উপকরণ। তবে অতিরিক্ত চিনি শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। খাবারে চিনির ব্যবহার যত কম হবে, ততই ভালো।
অনেকের চিনির প্রতি রয়েছে তীব্র মোহ। এই কারণে স্বাভাবিক মাত্রার থেকে অনেক বেশি চিনি খেতেও ভালো লাগে। এ ছাড়া চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার সঙ্গে মানসিক বিষয়েরও কিছুটা সম্পর্ক রয়েছে। যদিও সাদা চিনির ক্ষতিকর দিক অনেক।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ দিনে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে পারবেন ৯ চা-চামচ। মেয়েদের ক্ষেত্রে সেটি ৬ চা-চামচ। চিনি খাওয়ার মোহ বেশি থাকলে হঠাৎকমিয়ে ফেলা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে কৌশলে পরিবর্তন আনতে পারেন, পরামর্শ দিলেন পারসোনা হেলথের প্রধান পুষ্টিবিদ শওকত আরা সাঈদা।
চিনির প্রতি তীব্র মোহ কমাতে চিনির বিকল্প বেছে নিতে হবে। সাদা চিনি খাওয়া একেবারেই বাদ দিন। লাল চিনি সাদা চিনির থেকে কম ক্ষতিকর। এ ছাড়া মিষ্টি ফল, ফলের সালাদ বা কাস্টার্ড ভালো সমাধান। খেজুর, মধু, গুড়, কিশমিশ খেয়েও কিন্তু মিষ্টির মোহ কমাতে পারেন, যা ততটা ক্ষতিকরও নয়।
তবে কৃত্রিম চিনি কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক চিনি, যেমন স্টিভা নামের একধরনের পাতা খেতে পারেন, যা চিনির স্বাদ দেবে কিন্তু চিনির মতো ক্ষতিকর নয়।
অনেক সময়ে গর্ভকালে বা মানসিক অবস্থার কারণে চিনির প্রতি ভালো লাগা তৈরি হয়।
মন খারাপ হলে অনেকেই চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া শুরু করেন। মন ভালো রাখতে এটি অনেকের কাছে প্রচলিত উপায়। কিন্তু ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট এ্যানি বাড়ৈ বলেন, মন খারাপ হলে মিষ্টি খাওয়া কোনো সমাধান নয়। মিষ্টি আমাদের শারীরিক শক্তি এনে দেয়, অনেক ক্ষেত্রে মনে হয় তা মন ভালো করছে। এটি খুবই অস্থায়ী অনুভূতি, যা সাময়িক ভালো লাগা দিতে পারে। উল্টো এতে শারীরিক ক্ষতি হয় মারাত্মক। মনের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো নয়। তাই চিনির প্রতি মোহ কমাতে বেশ কিছু বিষয় চর্চা করা যেতে পারে। এতে মনও অনেক ক্ষেত্রে ভালো হয়। তবে ব্যক্তিবিশেষে উপায়গুলো আলাদা হতে পারে।