ফিলিস্তিনের পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলের সন্ত্রাসী হামলায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ইসরায়েলি হামলায় হতাহতদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়ে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে চিঠি পাঠিয়েছেন।বুধবার (১২ মে) প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ কার্যত যুদ্ধে রূপ নিয়েছে। বুধবার (১২ মে) সেই যুদ্ধ চলছে টানা পঞ্চম দিনের মতো। সোমবারের মতো মঙ্গলবারও দিনভর লড়াই হয়েছে। একের পর এক বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। পাল্টা রকেট হামলা চালাচ্ছে হামাসও।
মঙ্গলবার (১১ মে) রাতভর এবং বুধবার (১২ মে) ভোরে গাজার বেশ কয়েকটি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে এখন পর্যন্ত ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ১০ জন শিশুও রয়েছে। এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন প্রায় ২৫০ জন ফিলিস্তিনি।অপরদিকে ফিলিস্তিনির প্রতিরোধ যোদ্ধা গ্রুপ হামাস গত তিনদিনে ইসরায়েল অভিমুখে ২০০টিরও বেশি রকেট ছুড়েছে। এতে ইহুদিবাদী দেশটিতে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন ভারতীয় নারীও রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১১ মে) অবরুদ্ধ উপত্যকা গাজায় ১৩ তলা একটি ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনারা। ‘হানাদি টাওয়ার’ নামের ওই ভবনটি বোমার আঘাতে ধসে পড়েছে। তবে ভবনে থেকে বাসিন্দারা আগেই সরে যাওয়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ওই ভবনে হামাস নেতাদের রাজনৈতিক কার্যালয় ছিল বলে জানা গেছে।
গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী এবং শেখ জাররাহ এলাকায় অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের উত্তেজনা চলছিল। এরমধ্যে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ঢুকে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায়।
পবিত্র রমজানের জুমাতুল বিদা এবং পবিত্র রাত শবে কদরেও আল-আকসায় তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা এর প্রতিবাদ করে আসছেন। এরমধ্যেই গত সোমবার প্রতিশোধ হিসেবে হামাস ইসরায়েলে দিকে রকেট হামলা চালায়। তারপর থেকে অব্যাহত বিমান হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।