সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলা প্রতিনিধি (ছবিতে বা’দিকে) মো.তুহিন হোসেনের ওপর হামলা চালিয়েছে স্থানীয় সন্ত্রাসী মো.মিন্টুর(৩৮)নেতৃত্বে এক দল সন্ত্রাসীরা। তারা কম্পিউটার, ক্যামেরা, আসবাবপত্র ভেঙেছে। তাতে প্রায় দেড় লাখ টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে। মিন্টু ঈশ্বরদীর দাশুরিয়া ইউপির দরগাপাড়া এলাকার খয়বার হাজীর ছেলে।
তুহিন জানান,আজ রবিবার অফিসে থাকা অবস্থায় বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে আমার ওপর হামলা করেছে মিন্টুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী। বেশকিছু দিন আগে তার মাটি বাণিজ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশের কারণে এই হামলা চালিয়েছে।
তিনি আরো বলেন,মিন্টু ৪/৫ লোক নিয়ে দাশুড়িয়া মসজিদ এলাকায় আমার অফিসে ঢুকে অকথ্যভাষায় গালমন্দ করে। এক পর্যায়ে তার নির্দেশে ও নিজে লাঠিসোটা নিয়ে আমার ওপর হামলা করে হাত ভেঙে ফেলে। তা ছাড়া আমার কম্পিউটার ও ক্যামেরাসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে দেড় লাখ টাকার অধিক সম্পদের ক্ষতিসাধন করেছে। এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।
তুহিনের ওপর হামলার ব্যাপারে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব ও উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকরা জানান, সন্ত্রাসী মো. মিন্টুর দলবল এসে অফিসে ঢুকে তুহিনকে বেধড়ক মার দিয়েছে। তার বা হাত ভেঙে ফেলেছে। আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে তার প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে থানায় একটি অভিযোগপত্র দিয়েছি। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অপরাধীর বিরুদ্ধে যাবতীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছে।
এ সম্পর্কে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ্র সরকার বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আমার কাছে এসেছিল। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে।
আমরা এখন পুজা নিয়ে বেশি ব্যস্ত। তারপরও সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বিষয়টি তদন্তের জন্য।প্রতিবেদন পেলে আমরা সাধারণ ডায়রি বা মামলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। অপরাধী তার প্রকৃত শাস্তি পাবেই।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি(বিএমএসএস)’র প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান খন্দকার আছিফুর রহমান ও মহাসচিব সুমন সরদার সহ কেন্দ্রীয় কমিটির সকল নেতৃবৃন্দরা উক্ত ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনি পদক্ষেপের জোর দাবী জানিয়েছেন।