ঈশ্বরদী প্রতিনিধিঃ পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলা ও নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার সীমানাঘিরে রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এবার জমে উঠেছে একুশে বইমেলা।
বই মেলার স্থানটি নাটোর ও পাবনা জেলার সীমানাঞ্চল হওয়ায় দুই জেলার বই প্রেমী মানুষের উপস্থিতি যেন মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।
ছয় দিনব্যাপি বইমেলার ২২তম এই আসর শুরু হয়েছে ১১ই মার্চ শুক্রবার ও শেষ হবে বুধবার। নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ প্রধান অতিথি হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে বই মেলার উদ্বোধন করেন। একুশে গ্রন্থাগারের উদ্যোগে প্রতিবছরের ন্যায় এবারের আয়োজনটাও অনেক বেশি বর্ণীলসাজে সজ্জিত।
মেলার ৪র্থ দিন সোমবার রাত ৮টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বইমেলার মুল মঞ্চ, খাবারসামগ্রী, প্রসাধনীসহ গ্রাম্য মেলার পসরা সেজেছে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার রাজাপুর সীমানায়।
মেলা বইয়ের ৪৮টি স্টল রয়েছে পাবনার ঈশ্বরদী থানার মুলাডুলি সীমানায়। এ যেন দুই অঞ্চলের মানুষের এক সুতোয় গাঁথা মিলনমেলার পসরা। মেলার পুরো অংশ জুড়েই রয়েছে নারী-পুরুষ ও শিশুদের আনন্দ উৎসবের সরব উপস্থিতি।
মেলা বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আবু বকর সিদ্দিক জানান, মেলায় প্রতিদিনই থাকছে দুই জেলার বিশিষ্টজনদের উপস্থিতি, বক্তব্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
একুশে গ্রন্থাগারের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন জানান, বইমেলায় আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় রয়েছে সিসি ক্যামেরা, শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বইমেলায় দর্শনার্থীদের ভীড় ও স্টলে বই বিক্রিতে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।