29 C
Dhaka
Tuesday, June 6, 2023

ঈশ্বরদী রেলের টিটিই অফিসের দুর্নীতি; তদন্ত প্রতিবেদন ঝুলে আছে টেবিলে

ঈশ্বরদী প্রতিনিধিঃ ঈশ্বরদী রেলওয়ের টিটিই হেডকোয়ার্টারে চাকরি না করেই সরকারী রাজস্ব উত্তোলনকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তার কার্যালয়ে দূর্নীতির তদন্ত প্রতিবেদন শুধু টেবিলে সীমাবদ্ধ রয়েছে। এই প্রতিবেদন আদৌও আলোর মূখ দেখবে কিনা এবিষয়ে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মচারীদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়,ঈশ্বরদী (টিটিই) হেডকোয়ার্টারে ডিউটি রোষ্টারে জুনিয়র টিটিই গোলাম কিবরিয়াকে ২০২১ খ্রীঃ ৩ জুন হতে ৬ জুন পর্যন্ত নৈমিত্তিক ছুটি দেয়া হয়। যেকারণে তার স্বাক্ষরের স্থান ফাঁকা রয়েছে। আবার সংরক্ষিত রেজিষ্টারে একই ব্যক্তিকে ব্লক চেকিং এর কাজে কর্মরত দেখানো হয়। নৈমিত্তিক ছুটিতে ও বিশ্রামে থাকা স্বত্তেও গোলাম কিবরিয়া ২ জুন হতে ৬ জুন পর্যন্ত প্রতিদিন ব্লক চেকিং দেখিয়ে অবৈধভাবে ৮ ঘন্টা করে মাইলেজ ভাতা তুলে নেন। অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে এধরণের এই অনৈতিক কাজে এসআরআই (ভারপ্রাপ্ত) টিটিই মোঃ আব্দুল মাবুদ সহযোগীতা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি যথারীতি পর্যবেক্ষণ খাতায় স্বাক্ষর করেছেন।

সূত্র জানায়,এই দূর্নীতির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় সদর দপ্তরে দায়ের এবং অনুলিপি রেলের পশ্চিম জোনের রাজশাহী কার্যালয়ে দাখিল হলে দুই সদস্য বিশিষ্ঠ তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। কমিটিতে এসিসিএম আব্দুল জব্বার ও টিএও এন্ড এও স্কট মজিবর রহমান রাজশাহীকে সদস্য করা হয়। তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যেই দুই দফা তদন্তের পর টিটিই হেড কোয়ার্টারের ভারপ্রাপ্ত এস আর আই আব্দুলের সহযোগীতায় সরকারী রাজস্ব আত্বসাতের সত্যতা মিলেছে মর্মে রিপোর্ট দাখিল করেছে বলে জানা গেছে।

তদন্ত কমিটির সদস্য এসিসিএম আব্দুল জব্বার জানান, আমরা দুই দফায় তদন্ত করেছি,তাতে লিখিত অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। কমিটির অপর সদস্য কর্মকর্তা টিএও এন্ড এও স্কট মজিবর রহমান বলেন, তদন্তে যা পেয়েছি তাতে অভিযুক্ত ব্যাক্তির শতভাগ শাস্তি হবে।

তদন্ত প্রতিবেদন রেলের রাজশাহী পশ্চিম জোনের জিএম বরাবরে দাখিল হলে জিএম মিহির কান্তি গুহ বিভাগীয় সিসিএম আহসান উল্লাহকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। এই প্রতিবেদন বেশ কিছুদিন সিসিএম এর টেবিলে থাকার পর পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনকে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়ে প্রেরণ করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এবিষয়ে এখনও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে না ।

তদন্ত প্রতিবেদন এবং চাকরি না করে দূর্নীতির মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব তুলে আত্মসাতের ঘটনা প্রসংগে বিভাগীয় বালিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন,খুব শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে টেবিলে পরে থাকার ঘটনা দিনের পর দিন চলছে। রহস্যজনক কারণে প্রতিবেদনের সফল বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে সচেতন মহলে। সরকারের রাজস্ব খাতের এহেন দূর্নীতির বিরুদ্ধে সঠিক সময়ে ব্যবস্থা না নেয়া হলে রেলওয়েতে দূর্নীতি আরও লাগামহীন হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

Leave a Reply

লেখক থেকে আরো