ওমিক্রনের পর এবার বিশ্বের কাছে নতুন উদ্বেগের কারণ এর সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএ-টু। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ ও এশিয়ায় দ্রুত বিস্তার ঘটাচ্ছে এই ভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে এ পর্যন্ত চল্লশটিরও বেশি দেশে এর অস্তিত্ব মিলেছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা ওমিক্রনের প্রথম সংস্করণের চেয়ে এটি দেড় গুণ দ্রুত ছড়ায়।
২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর ওমিক্রনের দ্বিতীয় সংস্করণ বিএ-টুয়ের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এটি প্রথম শনাক্ত হয় ফিলিপাইনে। এতো দিন এটি নিয়ে আলোচনা না হলেও সম্প্রতি বেশ কয়েকটি দেশে এর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ায় চিন্তার ভাজ পড়েছে গবেষকদের কপালে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে এখন পর্যন্ত চল্লিশটির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন বিএ-টু। প্রতিবেশি দেশ ভারতসহ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ-এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে এর সংক্রমণ।
ওমিক্রনের নতুন ধরনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ডেনমার্ক। জরিপ অনুযায়ী দেশটির ৮২ ভাগ করোনা রোগী বিএ-টুতে আক্রান্ত হয়েছে। একই ধরনে যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত ৯ ও যুক্তরাষ্ট্রে ৮ শতাংশ করোনা রোগী।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ওমিক্রন নিজেকে সামান্য বদলে এই বিএ-টু ধরন তৈরি করেছে। এটি প্রথম ধরন বিএ-ওয়ানের তুলনায় দেড় গুণ দ্রুত ছড়াতে সক্ষম বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। বিএ-ওয়ানের তুলনায় নতুন বিএ-টু ধরন শনাক্ত করাও কঠিন বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া এতে পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে বাকি সদস্যের আক্রান্তের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে।
এদিকে পুরাতন ধরনের সাথে জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের মিল থাকায় টিকার তৃতীয় ডোজ বিএ-টু থেকে সুরক্ষা দেবে বলে আশাবাদী চিকিৎসকরা। তাই এটি নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও টিকার পূর্ণ ডোজ নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা।
এদিকে বিএ-ওয়ান ও বিএ-টু ছাড়াও ওমিক্রন আরো দুটি নতুন উপভেরিয়েন্টকে তালিকা ভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ওমিক্রনের এই চারটি ধরনের জেনেটিক্যাল বৈশিষ্ট্য এক হলেও এদের চরিত্র ও আচরণে ভিন্নতা থাকতে পারে বলে ধারণা গবেষকদের।