29 C
Dhaka
Tuesday, June 6, 2023

করোনায় সাতক্ষীরা মেডিকেলে রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু ও অক্সিজেন সংকট

আজমীর হোসাইন, সাতক্ষীরা:- সাতক্ষীরায় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত রেকর্ড সংখ্যক ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে । এদের মধ্যে আটজনের মৃত্যু হয়েছে অক্সিজেন সংকটে । মৃত্যু আটজনের মধ্যে চারজন ছিলেন করােনা পজিটিভ । অন্যরা মারা গেছেন উপসর্গ নিয়ে । এছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায় ১৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

বুধবার বিকালে সাতক্ষীরা মেডিকেলে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের প্রেসার কমে আসতে থাকে । সেই সংকট মূহুর্তে পর পরই আইসিইউতে দুইজন , সিসিইউতে দুইজন এবং সাধারন ওয়ার্ডে আরও চারজনসহ আট জনের মৃত্যু হয় । রােগীদের স্বজনরা বলেন অক্সিজেন সংকট দেখা দিলেও তা পূরন করতে কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে এসব রােগী মারা গেছে ।

বুধবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালে মারা যাওয়া রোগীরা হলেন- কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের সুফুরা বেগম (৬০), সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা এলাকার খায়রুননেছা (৪০), কুকরালী এলাকার নাজমা বেগম (৫০) পলাশপোল এলাকার আনছার আলী (৭৫), কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াসিমলা গ্রামের আকরাম হোসেন (৬৬), শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর গ্রামের আশরাফ হোসেন (৪৭), দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের তুহিন (৪৫), আশাশুনি উপজেলার রবিউল ইসলাম (৪৮) ও পাটকেলঘাটা থানার বড়বিলা গ্রামের ফাতেমা বেগম (৪০)।

এছাড়া বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আরও মারা গেছেন আশাশুনি উপজেলার নৈকাটি গ্রামের আব্দুল হামিদ (৭৫), যশোরের শার্শা উপজেলার বাঘারপাড়া এলাকার ইদ্রিস আলী (৬২), তালা উপজেলার সেনেরগাতি গ্রামের রহিমা বেগম (৬০), পলাশপোল এলাকার শেখ কাদিরুল (৭৫) ও সদর উপজেলার ভাড়ুখালি এলাকার কওসার আলী (৫২)।

এদিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পজিটিভ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৬ জন। এছাড়াও উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৪৯ জন।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের প্রধান ডা. মানস কুমার মন্ডল বলেন, বুধবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অক্সিজেনের সংকট দেখা দিয়েছিল। তবে রাত ৮টার পর থেকে অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। যশোর থেকে অক্সিজেনের কোম্পানির গাড়ি আসতে দেরি করে। এই সময়ের মধ্যে আইসিইউতে তিনজন রোগী মারা যান।

তিনি বলেন, ওয়ার্ডের মধ্যে অক্সিজেনের ব্যবহার কম থাকে, যেখানে সিলিন্ডারের অক্সিজেনও দেওয়া হয়। একারণে ওয়ার্ডে মারা যাওয়া রোগীরা অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছে এটি বলা যাবে না। তিনি বলেন, যারা আইসিইউ ও ওয়ার্ডে মারা গেছেন তাদের সকলের অবস্থা আগে থেকেই খারাপ ছিল।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

Leave a Reply

লেখক থেকে আরো