টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হারের পর ভারতীয় ভক্তরা ক্ষুব্ধ হয়ে ক্রিকেটারদের সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্যের ঘরে নানা রকম আক্রমণাত্মক বক্তব্য পোস্ট করা শুরু করে।
সবচেয়ে বেশি আক্রমণের শিকার হন পেসার মোহাম্মদ শামি। তখন শচিন টেন্ডুলকার, বিরেন্দর শেবাগ এবং অনিল কুম্বলে থেকে শুরু করে ভারতের সাবেক এবং বর্তমান ক্রিকেটাররা শামিকে সমর্থন জানিয়েছিলেন।
কিন্তু ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি যখন শামিকে সমর্থন দিলেন তখন তার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে কিছু উগ্র সমর্থক। তাকেও নানা বাজে মন্তব্যে বিদ্ধ করতে থাকে। এমনটি এক উগ্রবাদী তো বিরাট কোহলি–আনুশকা শর্মার ৯ মাস বয়সী কন্যাকে ধর্ষনের হুমকি পর্যন্ত দেয়।
এ ঘটনার পর নড়েচগে ওঠে ভারতের প্রশাসন। মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের সাইবার সেলে ধর্ষন হুমকির অভিযোগ দায়ের করা হলে হায়দরাবাদ থেকে একজনকে আটক করে তারা।
মুম্বাই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি হায়দরাবাদের একটি খাদ্য সরবরাহের অ্যাপ সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন। তারা আরো জানেন, ‘যে সন্দেহভাজনকে এই বিষয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুম্বাই আনা হচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই–এর তথ্য অনুযায়ী, সন্দেহভাজন যাকে আটক করা হয়েছে একজন ব্যক্তি, ২৩ বছর বয়সী রামনাগেশ আলিবাথিনি।
এ হুমকি নিয়ে অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে কোহলি বলেছিলেন, ‘আমার কাছে, কাউকে তাদের ধর্ম নিয়ে আক্রমণ করা সবচেয়ে নিচু কাজ যা একজন মানুষ করতে পারে।’
দিল্লি মহিলা কমিশন (ডিসিডব্লিউ) ও মিডিয়া রিপোর্টের গভীর ভাবে বিবেচনা করেছিল এবং রাজধানী পুলিশকে একটি নোটিশ জারি করেছিল, এমনকি বিষয়টিকে ‘গুরুতর উদ্বেগের’ বর্ণনা দিয়েছিল। টুইটারে শেয়ার করা বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে, ‘আমাদের চেয়ারপারসন স্বাতী মালিওয়াল এই ‘লজ্জাজনক‘ বলে অভিহিত করেছেন এবং অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়েছেন।