বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) বলছে, করোনার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দেশের অন্যান্য স্বায়ত্তশাসিত ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরাই সশরীরে ক্লাস-ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ইউজিসির কাছে সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরণের দিকনির্দেশনা আসেনি। জানতে চাইলে আজ বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে ইউজিসি সদস্য (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, করোনা সংক্রমণের কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস-ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত ইউজিসি থেকে দেওয়া হবে না। তবে এ সংক্রান্ত কোন নির্দেশনা সরকারের কাছে আসলে আমরা তা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেবো। তাছাড়া সশরীরে ক্লাস-ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরাই নেবে।
ওমিক্রনের সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে প্রতিদিন শনাক্তের হার ৪ শতাংশ ছাড়িয়েছে। গতকাল শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দ্রত বেড়ে ১১৪০ এ পৌঁছে গেছে। এ অবস্থায় সশরীরে সকল ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। বিগত বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, দেশব্যাপী করোনার প্রকোপ বিবেচনায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকবে। তবে চলমান পরীক্ষা ও ব্যবহারিক ক্লাস গুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে, পরীক্ষার হল বৃদ্ধি ও ব্যবহারিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে গ্রুপ সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে বড় পরিসরে আইসোলেশান করার কথাও ভাবা হচ্ছে। আপাতত, প্রতি হলে কমপক্ষে চারজন শিক্ষার্থীর জন্য আইসোলেশানের ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে রেফারেন্স নিয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১০০ টাকায় করোনা পরীক্ষা করা যাবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর সিদ্ধান্তের ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এখনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়ার মত পরিস্থিতি হয়নি, এবং আমাদের হলগুলো চালু রয়েছে। এখন সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের ক্লাস-পরীক্ষাগুলো চলমান থাকছে
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে, করোনাকালীন সময়ে ক্যাম্পাসে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আগামী জানুয়ারির ২৯ তারিখ অনলাইন এবং ক্যাম্পাস উভয় পদ্ধতি সচল রেখে সেমিস্টার সচল রাখছে। শুধু পরীক্ষা গুলো সবাইকে ক্যাম্পাসে এসে দিতে হবে।