দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণের হার দ্রুত বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে খুলানঞ্চল রেড জোনে পরিণত হওয়ায় বিধিনিষেধের বেলায় আরও বেশি কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
সপ্তাহব্যাপি এই লকডাউনেও পুরোপুরি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শে সপ্তাহ শেষ না হতেই নতুন করে কঠোর লকডাউন বাড়ানো হয়েছে আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত। এদিকে লকডাউন বাড়ানোয় তা বাস্তবায়নে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
অন্যদিকে এতো কঠোর লকডাউনের পরেও কিছুটা ঢিলেঢালাভাবে পার হলো কঠোর বিধিনিষেধের ষষ্ঠ দিন। এদিকে লকডাউনের প্রথম দুই-একদিন প্রশাসনের কঠোরতার কারণে সড়কে যানবাহন আর মানুষের চলাচল কিছুটা কম ছিল। কিন্তু একদিকে লকডাউনের দিনের পরিমাণ যেমন বাড়ছে অন্যদিকে সড়কে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি রাস্তায় এবং মোড়ে মোড়ে বাড়ছে জনসমাগম। আরেক দিকে লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলেছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাও।
প্রশাসনের হিসাব মতে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে মহানগর ও উপজেলায় ১৩ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। খুলনা মহানগরীর পাশাপাশি উপজেলাগুলোতে স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসারে নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, আনসারসহ সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে দেওয়া হচ্ছে মামলা এবং দেওয়া হচ্ছে জেল ও জরিমানা।
মঙ্গলবার সকল থেকে কিছু জায়গায় পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের তৎপরতা ছিলো। এসময় বিধি নিষেধ অমান্য করায় কয়েকজনকে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। বেলা গড়ানোর সাথে সাথে তৎপরতা কিছুটা শিথিলতা দেখা যায়। লকডাউনের বিধিনিষেধ অমান্য করে রাস্তায় কিংবা মোড়ে বেরিয়ে পড়েন জনসাধারণ।
খুলনা মহানগর ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা সমূহের হিসেবে মঙ্গলবার (৬ জুলাই )১৬১ জনের মামলায় ১৬৩ জনের ১১৫১০০ টাকা জরিমানা দেওয়া হয়েছে। খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জনগণকেও নিজের এবং পরিবারের স্বার্থে সচেতন হতে হবে।
প্রতিবেদন : ফারিয়া পিংকি (খুলনা) ভিডিও ও ছবি : আহাদ শিকদার।