সারাদেশের ন্যায় খুলনাতেও তৃতীয় দিনের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো জনশূন্য থাকলেও অলিগলি আর বাজারে রয়েছে মানুষের ভিড়। এদিকে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ এবং সেনাবাহিনী সদস্য।
শনিবার (৩ জুলাই) সকাল থেকে দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত দেখা গেছে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের সদস্যদের। জনগণ ও যানবাহনের চলাচল রোধ করতে মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হলেই তাদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে নগরীর সকল দোকানপাট।
শনিবার সকাল থেকে নগরীর প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলা মোড়ে সবধরনের দোকান বন্ধ ছিল। এছাড়া নগরীর পিটিআই মোড়, রয়্যাল মোড়, শান্তিধাম মোড়, রূপসা মোড়, শিববাড়ি মোড়েও একই অবস্থা বিরাজ করছে।
সরেজমিন দেখা যায়, নগরীর ডাকবাংলা মোড়ে অপ্রয়োজনে রাস্তায় মোটরসাইকেল বের করার অপরাধে কয়েকটি মটরসাইকেল আরহীকে ৫০০/৭০০/১০০০ বিভিন্ন অঙ্কের টাকা জরিমানা করা হয়। তবে বিগত লকডাউনের সময় রাস্তায় গণপরিবহন দেখা গেলেও গত বৃহস্পতিবার থেকে রিকশা ছাড়া কোনো যান্ত্রিক পরিবহন ছিল না রাস্তায়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘দেশে অস্বাভাবিকভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। মন্ত্রী পরিষদের নির্দেশে বিধিনিষেধ চলমান রয়েছে। খুলনার অবস্থা খুব ভয়াবহ। প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই মানুষকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত শহরের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করছে। তাদের সঙ্গে রয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, সরকারি নির্দেশিত বিধিনিষেধ অমান্য কয়েক জন পথচারীকে ও অপ্রয়োজনে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হওয়ায় একজনকে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দৈনিক সত্যের সকাল/ফারিয়া পিংকি