দ্বিতীয় দফায় নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসভা নির্বাচনে তিন মেয়র ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর সহ ১১ কাউন্সিলর প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নির্বাচনী বিধি অনুসারে উপস্থিত ভোটের শতকরা ৮ ভাগের নিচে হলেই তাদের জামানত বাতিল হয়।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে,গুরুদাসপুর বিএনপির মেয়র প্রার্থী এ্যাড.আজমুল হক বুলবুল ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৬৯২ ভোট, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সতন্ত্র প্রার্থী আমজাদ হোসেনের (মোবাইল ফোন)পেয়েছেন ২ হাজার ১৯৪ ভোট, সতন্ত্রপ্ রার্থী আব্দুস সালাম রনি ক্যারামবোর্ড প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪১৪ ভোট।নির্বাচনী বিধি অনুসারে এই তিন মেয়র প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
তিন মেয়র প্রার্থী ছাড়াও ৮জন কাউন্সিলরপ্রার্থী জামানত বাজেয়াপ্তের তালিকায় রয়েছেন। তারা হলেন- ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ছাইদুল প্রাং ডালিম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন মাত্র ৯ ভোট, একই ওয়ার্ডের সুমন রানা পেয়েছেন ১৭ ভোট।
৫ নম্বর ওয়ার্ডে হাসিবুল হাসান মংলা পান ২৪ ভোট(ডালিম), ১ নম্বর ওয়ার্ডের বেলাল প্রাং ব্ল্যাকবোর্ড নিয়ে পেয়েছেন ৩৯ ভোট, ২ নম্বর ওয়ার্ডের ডাক্তার অনুকুল কুমার দাম(ডালিম)৪২ ভোট।
জামানত বায়েজাপ্ত কাউন্সিলর প্রার্থীর তালিকায় আরো রয়েছেন-৬ নম্বর ওয়ার্ডের সোহাগ তালুকদার (ডালিম) পেয়েছেন ৫৫ ভোট।৮ নম্বর ওয়ার্ডের শফিকুল ইসলাম (টেবিল ল্যাম্প) প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৬০ ভোট।
৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইমদাদুল হক (ডালিম)১৪ ভোট।তাদের সবার জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ৩ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। তারা হলেন-(৪,৫ ও ৬)নম্বর ওয়ার্ডের মোছাঃ নুরজাহান বেগম (জবা ফুল) ১৮১ ভোট এবং নারী প্রার্থীদের মধ্যে সর্বনিম্ন ভোট তার। ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোছাঃ রোজিনা বেগমের মোট ২০৬। ৭,৮ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মোছাঃ জলি খাতুন(জবা ফুল) পেয়েছেন মাত্র ২১৮। তাদের সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
উপজেলা রিটার্নিং ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.তমাল হোসেন জানান, নির্বাচনী বিধি অনুসারে মোট উপস্থিত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট কোন প্রার্থী না পেলে তার জামানতের টাকা বাতিল করে রাষ্ট্রিয় কোষাগারে জমা হবে। সে হিসেবে অনেক প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য এ নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলো ২৫ হাজার ৪ জন। এরমধ্যে ১৯ হাজার ৭৯৫জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ১২টি কেন্দ্রে প্রদত্ত্ব ভোটের শতকরা গড় উপস্থিতি ৭৯.২০ভাগ।