শেরপুর জেলায় কয়েকদিন ধরেই সকাল-সন্ধ্যা ও রাতে কনকনে হিমেল হাওয়া বয়ে চলছে। সেই সঙ্গে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মতো শিশির পড়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
ঘন কুয়শার কারণে সামান্য দূরেও ঝাপসা দেখা যাচ্ছে। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী লোকজন স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছে না।খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে তীব্র ঠান্ডা ও শীত নিবারণের চেষ্টা করছে মানুষ। ছিন্নমূল ও গরিব মানুষ শীত বস্ত্রের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ছে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ বালাই।শেরপুরের নালিতাবাড়ীর পথচারী স্কুলছাত্র রাইসুল ইসলাম রাকিব বলেন, “ঠান্ডা এবং কুয়াশা তীব্র আকার ধারণ করেছে আজ তিনদিন ধরে।এতে করে আমাদের পড়াশোনাতে অনেকটাই ব্যাঘাত ঘটছে।”
জেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের এক শ্রমিক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, “আজ তিনদিন ধইরা খুব ঠান্ডা আর কুয়াশার জন্যে কাম কাজ করন যাইতাছে না। ক্ষেতে কাম করি, হাত-পাও কাইয়া নাইগগা আহে।”সদর উপজেলার পাপুড়িয়া ইউনিয়নের কৃষি শ্রমিক হাসান বলেন, “গরিব মানুষ কাম কইরা খাই। অহন আইজগা কাজ-কাম নাই। কুয়াশার কারণে গেরস্থ কামে নেয় না।”
ওই এলাকায় শাপুড়িয়া রবিন সরদার বলেন, “আমরা শাপুড়িয়া মানুষ। নদীর সাইডে খোলা আকাশের নিচে পলিথিনে থাকি; শীতে পোলাপাইন, বাল-বাচ্চা নিয়া থাকা খুব কষ্টে আছি। আয় রোজগার নাই; আইজকা কয়েকদিন ধইরা বসা আছি।” অতিরিক্ত কুয়াশার কারনে দুরপাল্লার যানবাহনও অটোরিক্সাসহ মোটর সাইকেলে হেড লাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় চলে। ফলে সবসময় দুর্ঘটনা আতংকে তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। শীত নিবারণে শীতবস্ত্র কিনতে এখন ভিড় করছেন ফুটপাতের দোকানগুলোতে এসব মানুষ।তবে আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে এ অবস্থার শীঘ্রই উন্নতি হবে।