24 C
Dhaka
Saturday, April 1, 2023

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীর ধারে কয়েক কি.মি এলাকা নিয়ে গড়ে উঠছে দৃষ্টিনন্দন পার্ক

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীর ধারে কয়েক কি.মি এলাকা নিয়ে গড়ে উঠছে দৃষ্টিনন্দন পার্ক

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীর ধারে কয়েক কি.মি এলাকা নিয়ে গড়ে উঠছে দৃষ্টিনন্দন পার্ক

 

মানুষের সব আবেগ, অনুরাগ, আর ভালোবাসার টানে যেন বিনোদনের সব সুর এসে মিলেছে আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জের শাজাহানপুর দুর্লভপুর গ্রামের পদ্মা নদীর মোহনাতে। এ ছাড়াও মহানন্দা আর পাগলা নদীত আছেই।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীর ধারে কয়েক কি.মি এলাকা নিয়ে গড়ে উঠছে দৃষ্টিনন্দন পার্ক
চিরযৌবনা পদ্মানদীর পাড়ের শাজাহানপুর দুর্লভপুর
গ্রামে গড়ে উঠছে দৃষ্টিনন্দন পার্ক। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধাণে গত ২০ দিন থেকে শাজাহানপুর দুর্লভপুর গ্রামের পদ্মা নদীর পাড়ে চলছে নানামুখী কর্মযজ্ঞ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীর ধারে কয়েক কি.মি এলাকা নিয়ে গড়ে উঠছে দৃষ্টিনন্দন পার্ক
দিনরাত অবিরত কাজ করে যাচ্ছেন নির্মাণ শ্রমিকরা। এসব কার্যক্রম তদারকি করছেন, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে ঐ এলাকায় গিয়ে দেখা যায় পদ্মা নদীর পাড়ে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে আধুনিক পার্ক গড়ে তোলার কাজ চলছে। অনেক বিনোদন প্রেমি মানুষকেও ঘুরতে দেখা গেলো নদীর পাড়ে। শুধু বাইরের মানুষ না স্থানীয় এলাকার মানুষও প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্য দেখতে বা ঘুরতে দেখা গেছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীর ধারে কয়েক কি.মি এলাকা নিয়ে গড়ে উঠছে দৃষ্টিনন্দন পার্ক
এলাকার বাসিন্দা মিজান জানান, পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে সরকার এখানে কয়েক কিলো নদীর পাড় ব্লক দিয়ে বাঁধিয়ে দিয়েছে। এখন এলাকাটিকে দৃষ্টি নন্দন করতে কাজ চলছে। আকর্ষণীয় ও বসার জন্য কিছুদূর পরপর টেন্ড তৈরি করা হচ্ছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীর ধারে কয়েক কি.মি এলাকা নিয়ে গড়ে উঠছে দৃষ্টিনন্দন পার্ক
তিনি আরও জানান, টেন্ডের মাঝেমাঝে লম্বা ছাতাও বানানো হচ্ছে রোদ বৃষ্টি থেকে রেহাই পেতে। এ ছাড়াও ফুল ও বৃক্ষ রোপণও করা হবে বিভিন্ন ধরনের। রাস্তায় সোলার প্যানেলের লাইটও থাকছে রাতের অন্ধকার দূর করতে। ইঞ্জিনচালিত নৌকায় পদ্মা নদীতে ঘুরতেও পারবে দর্শনার্থীরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীর ধারে কয়েক কি.মি এলাকা নিয়ে গড়ে উঠছে দৃষ্টিনন্দন পার্ক
এলাকাটিতে ঘুরে আরও দেখা গেছে, এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব ভাল। সব সময় অটোরিকশা, ইঞ্জিন চালিত রিকশা, নৌকা এখানে পাওয়া যায়। এ ছাড়াও ভ্রাম্যমাণ ও স্থায়ী মুদি দোকান, ফুচকা-চটপটির দোকান, ডাব, চা-কফির দোকান, ফাস্ট ফুড, বাদামসহ নানারকম নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী এখানে পাবেন। যার দরুন বাণিজ্যিক ভাবেও এলাকার মানুষ উপকৃত হবে। আর ভ্রমণ পিপাসুরাও সকল চাহিদা এখান থেকে পাবে। পদ্মা নদীর পাড়ের নির্মল বিনোদনের খোঁজে জনস্রোত দিনদিন বাড়বে এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

Leave a Reply

লেখক থেকে আরো