পাবনাঃ- ছেলেদের স্কুলে মেয়ের নাম আসায় সরকারি স্কুলে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ছোট্ট মেয়েটির।
প্রিয়ন্তি তালুকদার (০৯) পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করেছিল। কিন্তু লটারিতে তার নাম এসেছে পাবনা জেলা স্কুলের তালিকায়।
এ অবস্থায় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়েই তার ভর্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে তার পরিবার। একইসঙ্গে কার ভুলে এমনটি হয়েছে, তদন্ত করারও দাবি জানিয়েছে তারা।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে ভর্তির আবেদন ফরম পূরণ করেন প্রিয়ন্তির বাবা ব্রজেশ তালুকদার।
কিন্তু মন্ত্রণালয়ের লটারিতে তার নাম চলে আসে ছেলেদের স্কুলের তালিকায় অর্থাৎ পাবনা জেলা স্কুলে। বালক স্কুলে বালিকার নাম আসায় বিষয়টি নিয়ে সর্বত্র চলছে সমালোচনা।
এ বিষয়ে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রিয়ন্তির বাবা-মাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এ নিয়ে তাদের করার কিছু নেই। মেয়েটি এ বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে না।
পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার বলেন, এটি আমাদের কোনো ভুল না। আবেদনকারীর অভিভাবকরা ভুল করতে পারেন।
লটারির পর আমাদের নির্ধারিত ২৪০ আসনের ছাত্রী ভর্তির জন্য তালিকা চূড়ান্ত হয়ে গেছে।
কেউ ভর্তি না হলে অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তি করা হবে। কিন্তু প্রিয়ন্তির ভর্তি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
পাবনা জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হুজ্জাতুল্লাহ বলেন, আমাদের স্কুল ছেলেদের এখানে মেয়েদের ভর্তির সুযোগ নেই, প্রিয়ন্তির নাম কীভাবে তালিকায় এলো তা একমাত্র মন্ত্রণালয়ই বলতে পারবে।
প্রিয়ন্তির বাবা প্রজেশ তালুকদার বলেন, আমি একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে অনলাইনে ফরম পূরণ করেছি। সেখানে কোনো ভুল ছিল না। আমার মেয়ের নামও লটারিতে উঠেছে। তাই মেয়েকে ভর্তি করাতে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চাই।
এ বিষয়ে পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, ভর্তির বিষয়ে কারও সঙ্গে কোনো কথা বলছি না। তবে প্রিয়ন্তির বাবা-মা আমার কাছে এসেছিলেন। এটি আমাদের কোনো ভুল নয়। তাই আমাদের করার কিছু নেই।