29 C
Dhaka
Thursday, March 23, 2023

নামহীন স্মৃতিফলক হিসেবেই যেন দাঁড়িয়ে রয়েছে -নোবিপ্রবির মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য

জোবায়ের আনসারী, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:- ২০১৩ সালের ১৬ই ডিসেম্বর তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক সাঈদুল হকের হাত ধরেই এ ভাস্কর্যের উদ্বোধন করা হয়। উদ্ধোনের সময় নাম দেওয়ার কথা থাকলেও তা গত ৮ বছর ধরে নামহীন ভাবেই দাঁড়িয়ে আছে ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের সামনে গোলচত্বরে। সাবেক দুই উপাচার্যের মেয়াদকাল শেষ হওয়ার পরও স্থায়ী নাম নিয়ে কোনো গুরুত্ব দেখা যাচ্ছে না প্রশাসনিক মহলে। অথচ, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম. অহিদুজ্জামানের হাত ধরেই চালু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ কে জানার ও গবেষণার ক্ষেত্র হিসেবে বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ অধ্যয়ন বিভাগ। শুরু লগ্ন থেকে খুব ভালো ভাবেই চলছে উক্ত বিভাগটি। কিন্তু, উদ্ধোনের সময় “স্বাধিনতা ভাস্কর্য” হিসেবে অস্থায়ী নাম পাওয়া ভাস্কর্যটি স্থায়ী নামের অপেক্ষায় আজ দীর্ঘ ৮টি বছর।

প্রত্যেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই স্বাধীনতার চেতনাকে আঁকড়ে ধরে দেশপ্রেমের বীজ আরও উদ্দীপিত করতে স্থাপিত হয় বিভিন্ন আঙ্গিকে গড়া “মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য”। যেমন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ‘অপরাজেয় বাংলা’, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সাবাস বাংলা’, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিজয়-৭১’, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘চেতনা-৭১’, প্রভৃতি ভাস্কর্য। নোবিপ্রবি ভাস্কর্য নিয়ে প্রায় হয়ে আসছে শিক্ষার্থী এবং ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসা অতিথিদের মুখে নানা আলোচনা-সমালোচনা। যা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য খুবই লজ্জাজনক এবং রীতিমতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি কিছুটা ক্ষুন্ন হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আভ্যন্তরীন সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের শুরুর দিকে ভাস্কর্য টিকে নামকরণ করার জন্য নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের কাছে নাম দেওয়ার আহ্বান করা হয়। শিক্ষার্থীদের থেকে সংগ্রহকৃত কিছু নাম উপাচার্যের দপ্তরে পাঠানো হলেও কাঙ্খিত কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক স্থাপনা রয়েছে যা কেবল নির্মাণ প্রকল্পের সময়কার তালিকা অনুযায়ী নির্মাণ ও নামকরণ করা হয়েছে। আলাদাভাবে নামকরণ করার জন্য প্রশাসনকে কখনও ভাবতে দেখা যায়নি। তাছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলোরও কোনো নাম দেওয়া হয়নি। অথচ যেমনটা রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী পরিবহনকারী – বলাকা, ক্ষণিকা, চৈতালী, রূপসী বাংলা নামধারী প্রভৃতি বাস। শিক্ষার্থীরা বাস নামকরনের প্রস্তাব করলে নামকরণ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক। কিন্তু করোনা কালীন ছুটিতে বিগত ১৮ মাসেও এসকল উল্লেখিত বিষয়সমূহের অগ্রগতির কোনো আভাস পাওয়া যায়নি। এবং এ ব্যাপারে মাননীয় উপাচার্য মহোদয় থেকেও কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। উপাচার্য বরাবর শিক্ষার্থীদের ভাস্কর্যের নাম সংক্রান্ত চিঠি প্রেরণ করা হলেও কেন স্থায়ী নাম দিতে আজও বিলম্ব করা হচ্ছে প্রশ্ন রইল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে।

আশা রাখছি, বিশ্বিবদ্যালয়ের সার্বিক অগ্রগতির কথা মাথায় রেখে, শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নয়ন ও ভাবমূর্তি সর্বদা অক্ষুণ্ণ রেখে শিক্ষার্থী কর্তৃক উক্ত প্রস্তাবনাগুলোর গৃহীত করার নিরিখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতিশীঘ্রই বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

Leave a Reply

লেখক থেকে আরো