ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডেনশিয়াল ইভালুয়েশন সার্ভিস (আইসিইএস) দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটধারীরা কানাডায় উচ্চশিক্ষার জন্য মূল্যায়নের যোগ্যতা হারিয়েছে উল্লেখ করে একটি তালিকা দিয়েছে৷ ৩৩ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের এই তালিকায় একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রয়েছে৷ তবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন এটি ‘দ্য ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা’ নামক একটি অননুমোদিত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সাথে গুলিয়ে ফেলার কারণে এমনটা হতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে সম্প্রতি নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ইসরাত জাহান লিপা সহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী কানাডায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণে গিয়েছেন।
ফলে আইসিইএসের এই তালিকা নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে৷
এ নিয়ে বর্তমানে কানাডায় অবস্থানরত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মেরি রোকাইয়া বলেন, আমি তো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ,মাস্টার্স শেষ করে কানাডায় একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯ সালে এডমিশন পেলাম ,সাথে গত বছর কানাডা স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগও পেয়েছি। কই আমার ডিগ্রী নিয়ে তো কোনো ঝামেলা করলো না। আর আমার ডিগ্রী তো ডব্লিওইএস থেকে মূল্যায়ন করালাম। ওরা আমার ডিগ্রীকে ইন্টারন্যাশনাল লেভেলের মাস্টার্স হিসেবেই ধরেছে।
এদিকে আইসিইএসের তালিকায় উল্লেখিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বলতে আসলে কোন বিশ্ববিদ্যালয়কে বুঝানো হয়েছে তা পরিস্কার হতে ১৫ সেপ্টেম্বরে তাদেরকে ইমেইল করা হয়। এখন পর্যন্ত কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র দেব বলেন, বিষয়টা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমি রেজিস্ট্রার স্যারকে জানিয়েছি। আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিব।
সার্বিক বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, এ নামটা আসলে আমাদের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় না। এটা ঢাকার একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, দ্যা ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা। তবে আইসিইএস যেহেতু নাম ভুল করেছে তাই আমরা তাদেরকে জানাবো নাম ঠিক করার জন্য। তাদের জানাবো এ নামটা একটি বেসরকরি বিশ্ববিদ্যালয় হবে, আর আমাদের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় নামে যেটি আছে এটা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
রেজিস্ট্রার আরও বলেন, আমার জানা মতে, দ্যা ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা এখন ব্যান। তারপরও যদি এটা কার্যক্রম চালায়, তাহলে আমরা ইউজিসির শরণাপন্ন হবো।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ বেদনায় সংকটে উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখতে পারেন দৈনিক সত্যের সকালে।আজই পাঠিয়ে দিন sottersokal@gmail.com