মোবাইলে টানা পাবজি খেলছিলেন কিশোর। আচমকাই চিৎকার করে মাটিতে পড়ে যান তিনি। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। ভারতের মধ্যপ্রদেশে এ ঘটনা ঘটেছে। দীপক নামের ওই কিশোর শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী।
পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়েছে, শারীরিক অক্ষমতার কারণেই দিনের বেশিরভাগ সময় মোবাইল গেম নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন দীপক। সচরাচর বাইরেও বের হতেন না। এ বছরই দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা পাশ করেছিলেন। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিও হয়েছিলেন। ঘটনার দিনও তিনি মোবাইলে টানা বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে পাবজি খেলছিলেন। সেই সময় তাকে পাড়ার দোকান থেকে একটি দুধের প্যাকেট এনে দিতে বলেছিলেন তার ভাইঝি। এর পরেই বিকট চিৎকার করে মাটিতে পড়ে যান দীপক।
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরের।
এর আগে ২০১৯-এর মে মাসে মধ্যপ্রদেশেরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়। ওই কিশোরও মোবাইলে টানা পাবজি খেলত। ঘটনার দিন টানা ছ’ঘণ্টা পাবজি খেলেছিল সে। চিকিৎসকেরা তখন জানিয়েছিলেন, দীর্ঘক্ষণ এই ধরনের খেলায় অতিরিক্ত অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। তবে এখন মোবাইল ভিডিও গেমটির নতুন সংস্করণে টানা ৩ ঘণ্টার বেশি পাবজি খেলা যায় না।
কয়েক দিন আগে এ রাজ্যের উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় রেললাইনের উপর বসে থাকা চার যুবকের ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়। পুলিশ পরে জানায়, ওই যুবকেরা মোবাইলে পাবজি খেলায় এতটাই বুঁদ হয়েছিলেন যে, ট্রেনের শব্দই শুনতে পাননি।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা