বুধবার (১৬ জুন) পাবনা গণপূর্ত অফিসে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার ঘটনায় আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের তিন নেতাকে দল থেকে অব্যহতি ও স্থায়ীভাবে বহিস্কারের জন্য কারণ দর্শাও নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই শো-কজ নোটিশ দেওয়া হয়।
শো-কজ প্রাপ্তরা হলেন, বিলুপ্তকৃত পাবনা পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহসীন রেজা খান মামুন এবং পাবনা সদর উপজেলার বিলুপ্তকৃত কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ ফারুক হোসেন।
দলের সকল পদ থেকে কেন স্থানীভাবে বহিস্কার করা হবেনা এই মর্মে ১৫ দিনের মধ্যে তার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপিকে এই চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে একই অভিযোগে পাবনা জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য শেখ আনোয়ার হোসেন লালুকে যুবলীগ থেকে বহিস্কারের সুপারিশ করেছে পাবনা জেলা যুবলীগ।
পাবনা জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনি বলেন, আমরা শেখ লালুকে বহিস্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। দু’একদিনের মধ্যে কেন্দ্র বহিস্কারের সিদ্ধান্ত জানাবে।
এ ব্যাপারে পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লাল ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি‘র সঙ্গে কয়েকবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
রাজশাহীর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি। তবে পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনির উদ্দিন আহমেদ মান্না ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপির স্বাক্ষর করা চিঠি শোকজ প্রাপ্ত মহসীন রেজা খান মামুন এবং হাজী ফারুকের বাড়ী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া দলের দফতর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়ার কাছে ওয়াটসআপ ও কুরিয়ার করে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের বিলুপ্ত কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক ও বিলুপ্তকৃত পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহসীন রেজা খান মামুন ও পাবনা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালু ২৫/৩০ জন সহযোগি নিয়ে গত ৬ জুন বেলা ১২টার দিকে সশস্ত্র অবস্থায় পাবনার গণপূর্ত অফিসে ঢুকে মহড়া দেন।
ঐ দিন অস্ত্র নিয়েই তারা কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে ঢোকেন। ওই সময় তাদের সঙ্গীরা বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন। ১২টা ১২ মিনিটে তারা ফিরে যান। গত ১২ জুন সিসিটিভি ফুটেজে বিষয়টি ভাইরাল হলে সারা শহরে তোলপারের সৃষ্টি হয়।