বুধবার (১৭ নভেম্বর) পাবনা ভাঙ্গুড়ায় ভ্যানচালক ফারুক (১৯) হত্যা মামলায় ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
দুপুরে বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোঃ আহসান তারেক এ দন্ডাদেশ দেন। পাবনা জেলা দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুস সামাদ খান রতন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৪ আগস্ট রাত ১১টার ভাঙ্গুড়া উপজেলার চৌবাড়িয়া ভদ্রপাড়া এলাকা থেকে ফারুককে ডেকে বেড়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে যায় আসামিরা। পরে বড়াল ব্রিজ ফুটবল মাঠে নিয়ে তাকে হত্যা করে রিক্সা ভ্যান, মোবাইল ফোন ও সোনার চেন কেড়ে নেয়। হত্যার পর তারা ফারুকের মরদেহ ভদ্রপাড়া বাঁশবাগান পুকুর পাড়ে মাটিতে পুঁতে রাখে। প্রায় এক সপ্তাহ পর খোঁজাখুঁজির পর ৩১ আগস্ট পুলিশ সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহত ফারুকের মা ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ফোনের কললিস্ট ধরে তদন্ত করে ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র দেয়।
দীর্ঘ শুনানির পর আজ বুধবার আদালতে হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ও পরিকল্পনাকারী ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, ভাঙ্গুড়া পৌরসভার চৌবাড়িয়া এলাকার সুধির চৌকিদারের ছেলে প্রভাস চন্দ্র দাস (১৮), শাহজাহান আলীর ছেলে শাহিন হোসেন (২১), ইব্রাহিম আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (২১), মৃত হুমায়ুন কবিরের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২০), শরৎনগরের শ্রী মন্তোষের ছেলে প্রিন্স (২০), চরভাঙ্গুড়ার হাফিজুর ওরফে হাফেজের ছেলে ফরিদ আহমেদ (২২), বিলকিস বেগম ( ৪০), চৌবাড়িয়া গ্রামের ছন্নত আলীর ছেলে দুলাল হোসেন (২০), চরভাঙ্গুড়ার ইসহাক আলীর ছেলে ইউসুফ আলী (২২) ও চৌবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল করিম (৪৫)। দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে আব্দুল করিম ও বিলসিক ছাড়া সকল আসামী পলাতক রয়েছে।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক বলেন, এই মামলায় হত্যা প্রমাণিত হয়েছে। ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিপক্ষের আইনজীবী একেএম শামসুল হুদা ও এসএম ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমরা রায়ে সংক্ষুব্ধ। উচ্চ আদালতে আপিল করব।