সামাজিক ভয়াবহ ব্যাধি পরকীয়া। আর এই পরকীয়া আমাদের সমাজে আজ পারমাণবিক বোমার তেজস্ক্রিয়তার ন্যায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে তা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।
আজ অকপটে সকলেই আমরা স্বীকার করতে বাধ্য, পূর্বের তুলনায় এখন পরকীয়া সামাজিক ব্যাধিটি আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।
দেশের সর্বত্র নৈতিকতার এক মহাসর্বনাশ ঘটিয়ে এই পরকীয়া সামাজিক ব্যাধিটি পারমাণবিক বোমা তথা ক্যান্সারের মতো ছড়িয়ে পড়েছে ব্যক্তি-পরিবার-সমাজ ও জাতীয় জীবনেও।
এখন এমন এক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে, সমাজের সিংহভাগ পুরুষ ও নারী মনে করেন, তাদের স্ত্রী ও স্বামীদের চেয়ে অন্য নারী ও পুরুষরা সুন্দর এবং আর্কষণীয়। অন্যদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে তৃপ্তি বেশি! শুধু তাই নয়, তারা অন্য নারী ও পুরুষদের বাহ্যিকতাকে প্রাধান্য দেয়। প্রকৃত সৌন্দর্যের সংজ্ঞা ভুলে ভ্রান্তপথে পা বাড়ায়।
নানা ছলাকলায় পুরুষরা যেমন নারীদের মহাসর্বনাশ ঘটায় তেমনি নারীরাও দিনে দিনে বিভিন্ন ভয়াবহতার জন্ম দেয় এ পরকীয়া আসক্ত হয়ে। তারা তাদের বিবাহিত জীবন ছাড়াও অধিক সান্নিধ্য কামনা করে। তাদের ধারণা, একাধিক সঙ্গ অর্থাৎ নিজ স্ত্রী ও স্বামীদের ব্যতিরেকে অন্য নারী-পুরুষ মরীচিকায় বেশি সুখ পাওয়া যায়! আর এভাবেই বেপরোয়া ও বিকৃত যৌননেশায় আসক্ত হয়ে অপতৃপ্তির ঢেঁকুরগিলে আত্মপ্রশান্তির লোভে মরিয়া হয়ে ওঠে এসব নারী ও পুরুষেরা।
এসব মূর্খরা মনে করে, ঘরের মানুষটির চেয়ে বাহিরের মানুষ তাদের বেশি যৌনতৃপ্তিদানে সক্ষম এবং বৈচিত্র আনন্দে ভরিয়ে দেবে তাদের জীবন! আসলে তাদের এমন ধারণা, শুধুমাত্র অজ্ঞতাই প্রমাণ করে না, জীবন ও যৌবন সম্পর্কে চরম অসচেতনতারই বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।
যদিও একসময় তারা স্বীকার করতে বাধ্য হয় “নিজের স্ত্রী ও নিজের স্বামীই শ্রেষ্ঠ”। এর কোনো তুলনা নেই বা হতে পারেনা। কিন্তু এ উপলব্ধি হওয়ার পূর্বেই অনেকের জীবনের অনেকটা সময় ভ্রান্তপথের বীভৎসতায় ঢেকে যায় এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের জীবনেও নেমে আসে অমানিশার অন্ধকার। আর তখন শত মাথা চাপড়ালে এবং অনুশোচনা করলেও কিছুই করার থাকে না।