মাঠে এক খেলোড়কে অন্য খেলোয়াড়ের ফাউল করা স্বাভাবিক দৃশ্যই। অনেক সময় দেখা যায় গুরুতর আহত হতেও। তেমন একটি ঘটনাই ঘটেছে ওয়েস্ট হ্যাম ও বার্নলি ম্যাচে। কিন্তু প্রতিপক্ষকে ফাউল করেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ওয়েস্ট হ্যাম ফুটবলার নিকোলা ভ্লাসিচ।
চলতি মৌসুমে আরও বেশ কয়েকটি ইনজুরিই দেখা গেছে এমন। এর আগে হাঁটুতে চোট পেয়েছেন লিভারপুলের হারভে এলিয়ট। যদিও এই ধরনের ইনজুরিতে কোনো পক্ষের দোষ থাকে না। দিনশেষে ফুটবলে শারিরীক সংঘাত স্বাভাবিকেই। এমন ঘটনাই ঘটেছিল ভ্লাসিচের ক্ষেত্রেও।
তার কঠিন এক চ্যালেঞ্জে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বার্নলির অ্যাশলে ওয়েস্টউড। সঙ্গে সঙ্গে হাত উঠিয়ে মেডিকেলের সাহায্য চান তিনি। খেলাও দেওয়া হয় থামিয়ে। এরপর তাকে মাঠ ছাড়তে হয় স্ট্রেচারে করে। এই দৃশ্য দেখে নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি ভ্লাসিচ।
কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তাকে দেখা যায় জার্সি দিয়ে নিজের মুখ ঢাকতেও। পরে তাকে স্বান্তনা দেন সতীর্থরা। ভ্লাসিচের ওই ট্যাকেলে অবশ্য পা ভেঙে গেছে ওয়েস্টেডের। তাকেও তুলে নেওয়া হয় মাঠ থেকে। নিজের ভুল বুঝতে পেরে মুষড়ে পড়েন ভ্লাসিচও।
এমন দৃশ্যের ম্যাচটি অবশ্য জেতেনি কোনো দলই। ৩৩তম মিনিটে ওয়েঘর্স্টের গোলে এগিয়ে যায় বার্নলি। ৭৪ মিনিটে সোসেকের গোলে সমতায় ফেরে ওয়েস্ট হ্যাম। ম্যাচটি শেষ অবধি ড্র হয়।