মোঃ মেহেদী হাসান, বগুড়া: বগুড়ায় মিরাজ আলী (২২) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের পৌরপার্কে নৃসংশ ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে নাজমুল (১৬) নামে তার এক সহযোগীও আহত হয়েছে। নিহত মিরাজ শহরের বৃন্দাবন দক্ষিণপাড়া এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি অটোরিকশার মেকার ছিলেন। রাজনীতিতে সক্রিয় মিরাজ যুবলীগের ২নং ওয়ার্ড কমিটির সদস্য ছিলেন। আহত নামজুলও একই এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম খাদেমুল ইসলাম। তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ওই হত্যাকাÐের মোটিভ জানতে পারেনি। তবে সদর থানার ওসি সেলিম রেজার ধারণা প্রেমঘটিত কারণেই মিরাজকে খুন করা হতে পারে। এর আগে গত শনিবার শহরের নিশিন্দারা পূর্ব খাঁপাড়া এলাকায় দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তুহিন বাবু ওরফে কুইন (২৪) নামে এক যুবক নিহত হন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মিরাজের প্রতিবেশি কিশোর নামজুল জানায়, তারা ২০/২৫জন মিলে একটি টিকটক গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত। মঙ্গলবার বিকেলে তারা শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথা এলাকায় অবস্থান করছিল। বিকেল ৫টার দিকে মিরাজ তাকে ফোন দিয়ে বলে জেলার গাবতলী উপজেলার এলাকার একদল ছেলে তাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিচ্ছে এবং পৌর পার্কে দেখা করতে বলেছে। নামজুল বলে, ‘মিরাজ ভাই আমাকে ফোনে বলে তোরা সবাই পার্কের ভেতরে আয়। এরপর আমিসহ ১০/১২জন পার্কের ভেতরে ব্যায়াম করার স্থানে গেলে ৪/৫জন যুবক এসে মিরাজের পরিচয় পেয়ে তাকে চর-থাপ্পড় মরতে শুরু করে। তখন আমি বাধা দিতে গেলে তারা আমার হাতে ছুরিকাঘাত করে। এরপর তারা মিরাজকে এলোপাথারি ছুরিকাঘাত করে চলে যায়।’
ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির সাব ইন্সপেক্টর শামিম হোসেন জানান, মিরাজকে গুরুতর আহত অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হাসপাতালে আনার পর পরই তার মৃত্যু হয়।
ভাই আতাউর রহমান জানান, মিরাজ সোমবার রাতে তাকে জানায় অপরিচিত একদল ছেলে তাকে মোবাইল ফোনে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের সঙ্গে একটি মেয়ের প্রেম ছিল বলে এখন শুনছি। তবে আগে সেটা জানা ছিল না।’ যুবলীগ বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু জানান, মিরাজ আলী ওই সংগঠনের ২নং ওয়ার্ড কমিটির সদস্য ছিলেন।
বগুড়া সদর থানার ওসি সেলিম রেজা বলেন, ‘প্রেম ঘটিত কারণে মিরাজকে খুন করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।’