করোনা মহামারির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বাংলাদেশসহ অন্তত ১১৬টি দেশে আপাতত ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ বিষয়ে যে পরামর্শ বা নির্দেশনা রয়েছে, সেখানে এই ১১৬টি দেশের পাশে ‘ডু নট ট্র্যাভেল’ লেবেল জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
‘ডু নট ট্র্যাভেল’ লেবেলযুক্ত দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, ইসরায়েল, মেক্সিকো, জার্মানিসহ আরও কিছু দেশকে ‘করোনার অতি উচ্চ সংক্রমণের’ দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের
অতি সম্প্রতি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভ্রমণ নির্দেশিকার এই তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে|
এর আগে, সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, ভ্রমণে সর্বোচ্চ সতর্কতার তালিকার চতুর্থ পর্যায়ে অনেকগুলো নতুন দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, যে কারণে বিশ্বের ৮০ শতাংশ দেশই এখন এই তালিকায় চলে আসবে।
মঙ্গলবারের আগ পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশের মধ্যে এই তালিকায় ৩৪টি দেশের নাম ছিল। এখন ১৫০টিরও বেশি দেশকে চতুর্থ পর্যায়ের ভ্রমণ সতর্কতার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বিবেচনা করছে তারা।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ বিভিন্ন দেশে করোনা মহামারি পরিস্থিতির পুনর্মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়নি, বরং এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভ্রমণ সতর্কতার পরিমার্জনের প্রতিফলন, যা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর বিদ্যমান মহামারির মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই পরামর্শ বাধ্যতামূলক নয় এবং এসব দেশে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভ্রমণের ওপর কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি।
এই তালিকায় ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, আফগানিস্তান, ফিনল্যান্ড, মিসর, বেলজিয়াম, তুরস্ক, ইতালি, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও স্পেনও আছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে চলায় ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ নাগরিককে ইউরোপের অধিকাংশ দেশ ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন- এমন যেসব ব্যক্তি সম্প্রতি ইউরোপ, চীন, ব্রাজিল, ইরান ও দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণ করেছেন, তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি।