আগামী ১ অক্টোবর থেকে শুরু হতে চলেছে শারদীয় দুর্গোৎসব। পালাক্রমে এ বছরও মা মর্তে আসছেন। আগামীকাল ২৫ অক্টোবর, রবিবার মহালয়া। যে দিনটা আমাদের দুর্গাপূজার আগমনী বার্তা দেয় তা হলো মহালয়া।
মহালয়ার দিন আসলেই মনে হয় এইতো পুজো শুরু হয়ে গেল। ছোট থাকতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম মহালয়ার। ভোরে ঘুম থেকে উঠে টিভি খুলে অপেক্ষা করতাম মা দুর্গার মহিষাসুর বধের কাহিনী দেখার জন্যে। কোনো কারণে ঘুম না ভাঙলে সারাটা দিন মন খারাপ হয়ে থাকতো। টিভি দেখে বের হতাম শিউলি ফুল কুড়িয়ে আনার জন্যে।
মহালয়ার শাস্ত্রীয় তাৎপর্য আছে অবশ্যই।
শাস্ত্রমতে, মহালয়া হল একটি অমাবস্যা তিথি, এ তিথিতে সাধারণত পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধ-তর্পণ করা হয়। এ দিন তর্পণ করলে পিতৃপুরুষরা নরকযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পান বলে বিশ্বাস। তাঁরা এই প্রাপ্তিতে আমাদের আশীর্বাদও করেন।
এছাড়া মহালয়ার দিনে অনেক জায়গায় দেবী দুর্গার বোধনও হয়। ‘বোধন’ অর্থে জাগরণ। মহালয়ার পরে দেবীপক্ষের তথা মাতৃপক্ষের তথা শুক্লপক্ষের প্রতিপদে ঘট বসিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজার সুচনা করা হয়। বলা হয়, মহালয়ার দিনেই দেবীদুর্গা দেবতাদের কাছ থেকে মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
সবাইকে শারদীয় দুর্গোৎসবের আগাম শুভেচ্ছা জানাই।
সেতু কর্মকার
রসায়ন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
(বিঃ দ্রঃ সত্যের সকালের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, সত্যের সকাল কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার সত্যের সকাল নিবে না)