রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন আগামী ৬ মার্চ। উক্ত সম্মেলনে ওয়ার্ড-ইউনিয়ন কমিটি না করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করেছেন বলে জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দপ্তরে নেতৃবৃন্দ লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আব্দুস সালাম ও সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন কবিরাজ পরিকল্পিত ভাবে হঠাৎ করেই গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তাদের ইচ্ছামত কিছু নেতৃবৃন্দ নিয়ে মিটিং করতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হলে ত্যাগি নির্যাতিত ও কারাভোগকারী নেতৃবৃন্দ মিটিংয়ে উপস্থিত হয়ে জানতে পারেন আগামী ৬ মার্চ উপজেলা আওয়ামী লীগে সম্মেলন।
ত্যাগি নির্যাতিত ও কারাভোগকারী নেতৃবৃন্দরা সভাপতি ও সম্পাদকের কাছে জানতে চান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন না করে কীভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়? এটা কী বৈধ হবে?
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকে নেতৃবৃন্দের কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ঐদিনই সম্মেলন হবে ঘোষণা দিয়ে চলে যান।
পরে নির্যাতিত, কারাভোগকারী ত্যাগী নেতৃবৃন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর অবৈধ ভাবে সম্মেলন করার অপচেষ্টার জন্য লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছেন গত ২২-০২-২২ ইং তারিখে এবং গত ২৮-০২-২২ ইং তারিখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বরাবর আরেকটি লিখিত অভিযোগ করেন।
ত্যাগি নির্যাতিত ও কারাভোগকারী নেতৃবৃন্দরা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন যে, বিগত ৩০বছর যাবৎ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও উপজেলা আওয়ামী লীগে বর্তমান অ্যাড. আব্দুস সালাম ও সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন কবিরাজ তাঁদের ইচ্ছামত নেতাকর্মীদের কমিটিতে রেখে সম্মেলন করার ঘোষণা করার মাঠ পর্যায়ে চরম অসন্তোষ, বিশৃঙ্খলা ও দলের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়েছে।
এবারও যদি একই ভাবে কমিটি গঠন হয় তবে তৃণমূল পর্যায় থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগ পর্যায় পর্যন্ত বড় ধরণের বিপর্যয়ে হতে পারে।
এখানে উল্লেখ্য যে, মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মফিজ উদ্দিন কবিরাজ গত ০৮ আগস্ট ২০১৮ খ্রি: তারিখ হতে তার চাকুরী সরকারি করণ হওয়া সত্বেও তিনি সরকারি নীতিমালা উপক্ষো করে ও আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অমান্য করে দুই পদেই বহাল তবিয়তে আছেন এবং পরবর্তী সম্মেলন আগামী ৬ মার্চ এ সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করেন। যার কারণে তিনি ও সভাপিত নতুন প্রর্থীগণদের ভোটার তালিকা প্রদান করতে চাচ্ছেন না।
সালাম ও মফিজ কবিরাজের হাত থেকে রক্ষা করে আসন্ন সম্মেলন পিছিয়ে একটি অংশ গ্রহণমূলক সম্মেলনের স্বার্থে ও গঠনতন্ত্রের আলোকে সঠিক কাউন্সিলর তালিকা প্রণয়ন করে সম্মেলন করার জন্য ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সকল দলীয় নেতাকর্মীরা।
