রাজধানীতে গ্যাসের প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কার্যক্রম ধীরগতিতে হচ্ছে বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
রাজধানীতে গ্যাসের প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কার্যক্রম ধীরগতিতে হচ্ছে বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সংসদ ভবনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এক আলোচনায় একথা বলা হয়।
বৈঠকে গ্যাসের মাত্রাতিরিক্ত অপচয় রোধে দেশব্যাপী প্রি-পেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম আরও বেগবান করার সুপারিশ করে কমিটি।
বৈঠকে জানানো হয়, গ্যাসের অপচয় রোধে আবাসিক শ্রেণিতে ২০১১ সাল থেকে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আবাসিকে গ্যাসের গ্রাহক মোট ৪২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৫৯। পেট্রোবাংলার আওতাধীন ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানিতে আবাসিক শ্রেণির গ্রাহকদের প্রি-পেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম শুরু হয়।
এখন পর্যন্ত নিজস্ব ও বৈদেশিক অর্থায়নে কয়েকটি প্রকল্পের আওতায় দুই লাখ ৭৩ হাজার ১০০ আবাসিক গ্রাহকের প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। সংসদীয় কমিটি মনে করছে, এটি ধীর গতির কাজ। আর এ কারণে বৈঠকে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয়।
সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া, গ্যাসের বিল হালনাগাদ করাসহ সকল শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বকেয়া গ্যাস বিল যথাসময়ে আদায় করার সুপারিশ করে কমিটি।
বৈঠকে সুনীল অর্থনীতিতে (ব্লু ইকোনমি) সফলতা অর্জনের জন্য প্রণীত সময়সীমা অনুযায়ী সকল কার্যক্রম শেষ করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে কমিটিতে সদস্য হিসেবে অংশ নেন নূরুল ইসলাম তালুকদার, আছলাম হোসেন সওদাগর, খালেদা খানম, বেগম নার্গিস রহমান ও নুরুজ্জামান বিশ্বাস।
মিরাজুল ইসলাম /দৈনিক সত্যের সকাল