মেহেদী হাসান, জেলা প্রতিনিধি (শেরপুর): শেরপুরের নকলায় চাচী-ভাতিজার পরকীয়া প্রেম জানাজানি হওয়ার ভয়ে দু’জনই একই সময় গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করার খবর পাওয়া গেছে। নকলা উপজেলার পাঠাকাঠা ইউনিয়নের গোয়ালেরকান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রেমিক ভাতিজা হেলাল (৩০) গোয়ালেরকান্দি এলাকার ইয়াদ আলীর ছেলে এবং প্রেমিকা হাসি (২৫) ওই এলাকার আব্দুস সোবাহানের স্ত্রী। গতকাল (২৯ জানুয়ারি) শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টা ৩০মিনিটের দিকে পুলিশ হাসির লাশ বাড়ির নিকটে একটি কাঠ বাগানের ফাঁসিতে ঝুলে থাকাবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করে। রাতে হেলালকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া যায়নি। পরে আজ (৩০ জানুয়ারি) শনিবার ভোরের দিকে হেলালকে হাসির ঘরের পিছনে একটি গাছ থেকে ফাঁসিতে ঝুলে থাকা মৃত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করেছে। এলাকাবাসির ধারণা, দুজন একই সাথে ফাঁসিতে ঝুলে মারা গেছে।
জানা যায়, ৯ বছর আগে হাসির সাথে বিয়ে হয় ওই এলাকার আব্দুস সোবাহানের সাথে। দাম্পত্য জীবনে তাদের ৭ বছরের একটি ছেলে আছে। হেলাল নিজেও বিবাহিত ও এক সন্তানের বাবা। প্রেমিক হেলাল ও হাসির স্বামী সোবাহান দূরসম্পর্কের চাচা-ভাতিজা। সোবাহান ঢাকার গাজীপুরে পোশাক কারখানায় চাকুরীরত ছিল।
আনুমানিক ৩ থেকে ৪ বছর ধরে হাসির বাসায় হেলাল নিয়মিত যাতায়াত করত। দুজনের সম্পর্ক নিয়ে এলাকাবাসির মধ্যে কানাঘুষা হতো। সূত্র জানায়, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৮টার সময় হেলাল হাসির বাড়িতে আসে। এক পর্যায়ে ওই পরকীয়া প্রেমিক যুগলের ঘনিষ্ঠতা হাসির ছেলে ইয়ামিন দেখে ফেলে।