শেরপুরের সদর পৌরসভার কর্মচারী পরিষদের কতিপয় সদস্যের ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদে ও পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সড়কবাতিসহ উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর বাদশা মিয়া ।
তিনি আজ(১৩জানুয়ারি) দুপুরে শেরপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ তুলেন। এসময় তিনি লিখিত বক্ত্যেবে বলেন, মডেল শেরপুর পৌরসভা বিনির্মানের অংশ হিসেবে পৌরসভাস্থ ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চলমান বৈদ্যুতিক আলোর উন্নয়ন কাজের গতিবৃদ্ধি করার জন্য তাগাদা দেওয়াটা কাউন্সিলর হিসেবে আমার দায়িত্ব ।
আর আমি আমার দায়িত্ব পালন করতে গেলে শেরপুর পৌরসভার কর্মচারী পরিষদের উস্কানিতে পৌরসভার বৈদ্যুতিক কাজের দায়িত্ব প্রাপ্ত ইন্জিনিয়ার সোহরাব হোসেন রাসেল ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সমস্ত বৈদ্যুতিক খুটির বাতি বন্ধ করে দেয়। এতে চরম ভোগান্তি পরে ওয়ার্ডবাসি এবং আমাকে পৌরসভায় অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ছড়িয়ে দেয়া হয় । যা কর্মচারী পরিষদ আইনগতভাবে পারেনা। আমি সুষ্ঠ তদন্তের মধ্যে দিয়ে এই সমস্যা নিরসনের দাবি যানাচ্ছি। অন্যথায় আমার ওয়ার্ডবাসীসহ পৌরবাসীকে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিবো।
এদিকে পৌরসভার ইন্জিনিয়ার সোহরাব হোসেন রাসেল বলেন, কাউন্সিলর বাদশা মিয়া আমাদের কর্মচারীদের সাথে জঘণ্য খারাপ ব্যবহার করেন মাঝে মাঝেই । তিনি কর্মচারীদের বাবা মা তুলে গালি দেন বিভিন্ন সময়ে । ঘটনার দিন তিনি কর্মচারীদের সাথে খুবই দুর্ব্যবহার করেন।
নাগরিক ভোগান্তি সৃষ্টি করতে পৌরসভার বাতি বন্ধ করলেন কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমরা ওই ওয়ার্ডের পৌরবাতি বন্ধের কর্মসূচি দিলেও সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বাতি চালু করতে গেলেও কাউন্সিলর মহোদয় উনার লোকজন নিয়ে আমাদের বাতি চালু করতে বাধা দেন।
এব্যাপারে পৌরসভা কর্মচারী পরিষদের সভাপতি ফারুক আহাম্মেদ বলেন, কাউন্সিলর মহোদয় মাঝে মাঝেই আমাদের কর্মচারীদের সাথে খুবই খারাপ আচরণ করেন । ঘটনারদিনও তিনি কর্মচারীদের রড দিয়ে মারতে যান। তাই আমরা বাধ্য হয়ে কর্মসুচি ঘোষনা করি । কিন্তু মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে রাতে বাতি চালু করতে গেলেও কাউন্সিলরের লোকজন বাধা প্রদান করেন।
এসময় শেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শরিফুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিনসহ প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিল।