বগুড়ার শেরপুরে সাপের দংশনে মারা যাওয়া ইসহাক আলী (৬০) নামের এক কৃষকের মরদেহ কবর থেকে তুলে ঝাড়-ফুঁক করেছেন এক ভন্ড কবিরাজ। গতকাল সোমবার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের বেলগাছি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ইসহাক আলী বেলগাছি গ্রামের মৃত জহর আলীর ছেলে।
জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় জমিতে পানি সেচ দিতে যান ইসহাক আলী। সেখানে বিষধর সাপ তার পায়ে কামড় দেয়। পরিবারের লোকজন তাকে ধনুট উপজেলার জালশুকা এলাকার কবিরাজ ফজলার হোসেনের কাছে নিয়ে যান। কবিরাজ ঝাড়ফুঁক দিয়ে পায়ে থাকা বাঁধন খুলে দেয় এবং বলে বিষ নেমে গেছে। এরপর আত্মীয়-স্বজনকে চলে যেতে বলে এবং রোগীকে এক ঘণ্টা পর নিয়ে যেতে বলে। কিন্তু প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে কবিরাজ ইসহাক আলীকে ঝাড় ফুঁক দেওয়া অব্যাহত রাখেন। এক পর্যায়ে রোগীর অবস্থার অবনতি হলে রাত ১১টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসহাক আলীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরে আত্মীয়-স্বজনরা মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং সোমবার সকাল ৮টায় জানাজা শেষে কবরস্থানে দাফন করেন। এসময় ওই কবিরাজ তার লোকজন নিয়ে এসে বলে ইসহাক আলীকে বাঁচানো যাবে। এ কথা বলে কবর থেকে মরদেহ উঠিয়ে ঝাড় ফুঁক করতে থাকে। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কবিরাজ ঝাড়-ফুঁক অব্যাহত রাখেন। এক পর্যায় গ্রামের লোকজন বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠলে কবিরাজ পালিয়ে যায়। পরে ইসহাক আলীকে আবার দাফন করেন পরিবারের লোকজন।
আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করে সুঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান জিন্নাহ বলেন, ইসহাক আলীর জানাজা নামাজে উপস্থিত ছিলাম। পরে জানতে পারি এক কবিরাজ নাকি মৃত ব্যক্তিকে বাঁচানোর কথা বলে ঝাড় ফুঁক করে। পরে আবার তাকে দাফন করা হয়েছে।