28 C
Dhaka
Sunday, March 26, 2023

সুজানগরে নৌকা-‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ গোলাগুলি

পাবনায় দ্বিতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নৌকা ও আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

রোববার (০৭ নভেম্বর) রাতে পাবনা সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের বনখুলা বাজারে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুইপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও গোলাগুলির ঘটনা হয়েছে।

এ সময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থীর সমর্থকরা নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের ওপরে মসজিদে মাইকিং করে দলবদ্ধভাবে হামলা ও গুলিবর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় নৌকার সমর্থকেরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে তাদের ওপরে গুলিবর্ষণ করা হয়।

এই হামলার ঘটনায় নৌকার সমর্থক ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এই হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ দুজনকে সুজানগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও তিনজনকে পাবনা জেনারেল ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, রাতে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ চেয়ারম্যান প্রার্থী তার সমর্থকদের নিয়ে নিজ ইউনিয়নের বনখুলাবাজারে মিটিং করছিল। এ সময় নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকেরা তাদের প্রচার মাইক নিয়ে ওই এলাকায় গেলে তাদের ওপরে হামলা চালায় ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর সমর্থকরা।

এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা হয়। পরে প্রাণ ভয়ে সকলে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বেশ কিছু নৌকার সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়। হামলাকারীদের লাঠির আঘাতে বেশ কিছু মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানান তারা।

নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিউর ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমি তখন রায়পুর বাজারে ছিলাম। ঘটনাস্থল থেকে আমার বাড়ি প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে। ওই এলাকাতে আমার নৌকার প্রচার মাইক নিয়ে কর্মীরা নির্বাচনী প্রচার কাজ করছিল। তারা আমাদের প্রচার মাইকসহ নৌকা পুড়িয়ে দিয়েছে।

তারাই আমাদের নেতাকর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করেছে। আমাদের কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের পাবনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে সব মিলিয়ে কতজন আহত হয়েছে সেটা এখন বলতে পরছি না। আমার নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করেনি।

‘বিদ্রোহী’ চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্বাস আলী মল্লিকের ছেলে ফরহাস হোসেন বাবু হামলার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, প্রথমে তারা তাদের ক্লাবের ওপর গুলিবর্ষণ করেছে। পরে তারা শতাধিক মোটরসাইকেল ও ট্রাকযোগে বনখুলাহাটে নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়েছে। আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার জন্য তারা চেষ্টা করছে।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের পুলিশ ফোর্স সেখানে পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে পরিস্তিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উভয়পক্ষের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি।

প্রসঙ্গত, আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে পাবনার সুজানগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

Leave a Reply

লেখক থেকে আরো