আজমীর হোসাইন, সাতক্ষীরা:- সাতক্ষীরায় জামাতা আবদুল মাতিনের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন শাশুড়ি মানেনা খাতুন । একই সময়ে ধারালো ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন স্ত্রী ফাতেমা খাতুন । তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ।
সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ জানায়, ঘাতক আবদুল মাতিন সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের নেসারউদ্দিনের ছেলে । এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ঘাতক জামাতা আবদুল মাতিনকে । ঘটনাটি ঘটে ১৭-ই জুলাই শুক্রবার গভীর রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা ইউনিয়নের ছনকা তালসারি গ্রামে ফাতেমার বাবা গোলাম হোসেনের বাড়িতে ।
পারিবারিক সূত্র ও পুলিশ জানায়, পায়রাডাঙ্গা গ্রামের মাতিনের সাথে ১৭ বছর আগে বিয়ে হয় ফাতেমা খাতুনের । তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে । পারিবারিক কলহে একমাস আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে ফাতেমা বাবার বাড়ি ছনকা তালসারি গ্রামে চলে আসে ।
গত শুক্রবার রাতে মাতিন তাদের বাড়িতে আসে। গভীর রাতে সুযোগ বুঝে সে ফাতেমার নাভির নিচে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এসময় স্ত্রী ফাতেমা খাতুন চিৎকার দিয়ে উঠলে তাকে ঠেকাতে শাশুড়ি মোমেনা খাতুন এগিয়ে আসলে মাতিন তার শাশুড়িকেও ছুরিকাঘাত করে আহত করে। পরে শাশুড়ি মোমেনা খাতুন মারা যান । অপরদিকে ফাতেমাকে আহত অবস্থায় সাতক্ষীরার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সদর থানার ওসি দেলাওয়ার হুসেন জানান , নিহত মোমেনা খাতুনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মোমেনা খাতুনের জামাতা মাতিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
