স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপনের ঐতিহাসিক মুহূর্তে ৫০ জন ট্রান্সজেন্ডারকে পাঠাও ফুড- এ ডেলিভারিম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান পাঠাও। নিয়োগ দেবার পূর্বে তাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ ও ওয়ার্কশপেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাঠাও কর্তৃপক্ষ।
সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ’ পার্কে “স্বাধীনতা সবারই” শীর্ষক বিশেষ অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে পাঠাও এবং এপেক্সের সৌজন্য উপহার হিসেবে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় আইডি কার্ড, টিশার্ট, স্মার্ট ফোন, ফুড ব্যাগ ও বাইসাইকেল।
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠানে পাঠাওকে ধন্যবাদ জানান বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমরা পাচ্ছি অভিনন্দন ও প্রশংসা। কিন্তু এই অগ্রগতির সাথে প্রয়োজন মানসিকতার পরিবর্তন। আমি পাঠাওকে সাধুবাদ জানাই এমন একটি আয়োজন করার জন্য ও ৫০ জন ট্রান্সজেন্ডার আয়ের সুব্যবস্থা করার জন্য। আপনাদের সাথেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।”
পাঠাও প্রেসিডেন্ট ফাহিম আহমেদ “স্বাধীনতা সবারই ” ইভেন্ট সম্পর্কে বলেন, “আমি মনে করি দেশের পঞ্চাশতম স্বাধীনতা উদযাপনের সঠিক উপায়, দেশের নাগরিকদের জন্য কিছু করা ও দেশকে এগিয়ে নিতে অবদান রাখতে সচেষ্ট হওয়া। এই ইতিবাচক পরিবর্তন এর সঙ্গী হিসেবে আমাদের মতাদর্শের সাথে যায় এমন কিছু করার সুযোগ পেয়ে আমরা আনন্দিত। আমরা এগিয়ে গেলেই, এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।”
এপেক্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, ”ক্ষমতায়ন হচ্ছে এগিয়ে যাওয়ার মূলমন্ত্র। একটি সমাজ তখনই সমৃদ্ধ হতে পারে যখন প্রত্যেক ব্যক্তি- বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে – স্বীকৃত এবং ক্ষমতায়িত হতে পারে। চলুন দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাই এবং মানুষকে তার প্রাপ্য সম্মানটুকু দিতে শিখি। আমরা সবাই মানুষ, সবারই একটা গল্প আছে, আর প্রত্যেকের গল্পই গুরুত্বপূর্ণ। আত্মার কোনও লিঙ্গ হয় না । প্রকৃত সাহস হচ্ছে অন্যকে অনুকরণ না করে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রাখা এবং তা কাজের মধ্যে ফুটিয়ে তোলা।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, পাঠাও এর ডিরেক্টর মার্কেটিং ও পিআর সৈয়দা নাবিলা মাহবুব, “ট্রান্সএন্ড” এর সিইও লামিয়া তানজীন তানহা, ট্রান্সজেন্ডার অ্যাক্টিভিস্ট শোভা সরকার, মিতু প্রমুখ।
সূত্র:- ডিজিবাংলা.টেক