পাবনার সাঁথিয়ায় প্রত্যান্ত অঞ্চলে সিএনজি চালক স্বামীকে পিস্তল ঠেকিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা। ফাঁস হওয়া একটি অডিও রেকর্ডে ঘটনা মিমাংসার জন্য ফোনে কু-প্রস্তাব দেন আরেক যুবক। এমন ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া দত্তপাড়া গ্রামে। অস্ত্র, মাদক ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় আতংকে রয়েছে পুরো এলাকাবাসী।
জানাযায়, গত ২২ আগস্ট রাত ৯টার দিকে তেঁতুলিয়া গ্রামের দত্তপাড়ার সিএনজি চালককের বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা করে চিহ্নিত স্থানীয় কয়েকজন যুবক। যুবকরা হলো, দত্তপাড়ার মাজেদের ছেলে শামিমের নেতৃত্বে আরশেদের ছেলে ফারুক, তারেকসহ আরো তিনজন। বিষয়টি কাউকে জানালে গুলি করে হত্যার হুমকী দেয় তারা।
গত ২৭ আগস্ট সিএনজি চালক সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ ভিকটিমকে সাথে নিয়ে পরের দিন থানায় আসতে বলে। থানায় যাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে সিএনজি চালকের পরিবারকে ফোনে বার বার হত্যার হুমকী দেন ধর্ষণ চেষ্টাকারিরা।
গত ২৮ আগস্ট সাংবাদিকরা ভুক্তভোগীর বাড়িতে গেলে তারা তাদের নিকট ওই রাতের ঘটে যাওয়া ঘটনা বলেন। পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান।
অপর দিকে ২৩ আগস্ট সকালে তেঁতুলিয়া গ্রামের ফিরোজ নামক এক যুবক ফোন দেন সিএনজি চালকের স্ত্রীর মোবাইলে। ফিরোজ প্রথমেই বলেন, আপনার সাথে গত রাতে যে ঘটনা ঘটেছে তা সমাধান করে দিব। আমার কথায় রাজী হলে শামীমরা আপনার পরিবারের কিছুই করতে পারবে না। ৩৪ মিনিটের অডিওতে ফিরোজ অনেক কথার পর ওই স্ত্রীকে সে কু-প্রস্তাব দেয় এবং ফোনে বার বার তার কথাগুলো গোপন রাখার জন্য অনুরোধ করে।
ফোনের বিষয়ে ফিরোজের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ওই মহিলাকে পরীক্ষা করার জন্য কথাগুলো বলেছি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ওই রাতের ঘটনা আমি একা নয়, এলাকার সবাই জানে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় অনেকেই বলেন, দত্তপাড়ার উঁচু বাঁধ এলাকায় কয়েক যুবক মাদক সেবন, জুয়া খেলা ও নারী নির্যিাতনের মত ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটিয়ে থাকেন। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী সর্বদা আতংকৃত থাকে বলে জানান। তাদের দাবি চিহ্নিত যুবকরা যে অস্ত্র উঁচিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে, তাদের অস্ত্র দ্রুত উদ্ধারে পদক্ষেপ নিবে আইনশৃংখলা রক্ষাকরা বাহিনী।
এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আশিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি এবং এলাকায় পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।