হিলি স্থলবন্দর প্রতিনিধি: গত বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে হাকিমপুর উপজেলায় বৃদ্ধি পেয়েছে সরিষার চাষ।
সরিষার মাঠে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে কৃষকের হলুদ স্বপ্ন। সরিষার হলুদ ফুলের মৌ মৌ সুগন্ধিতে মাতোয়ারা হয়ে উঠছে এলাকাবাসী সহ মৌমাছিরা। ব্যস্ত সময় পার করছে মধু সংগ্রহে মৌমাছিরা।সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। সরিষার ফুলের হলুদের মাঝে নিজেকে ধরে রাখতে আবার অনেকেই ছবি তুলছেন শস্যক্ষেতে।
অগ্রহায়ণ মাসের শুরুতেই কৃষকেরা সরিষার জমি প্রস্তুত করে । অল্প সময়ে, স্বল্প ব্যয়ে অধিক লাভ জনক সরিষা চাষ। আমন ধান কাটার পর জমি তৈরি করে বীজ ছিটান আমন চাষীরা। বীজ লাগানোর ৫০ থেকে ৬০ দিনের সময় প্রয়োজন, সরিষা ঘরে তুলতে কৃষকদের। ৩৩শতাংশ জমিতে সরিষা চাষ করতে খরচ হয় ১হাজার থেকে ১হাজার ৩শত টাকা।প্রতি৩৩ শতাংশ জমিতে ৩ থেকে ৪ মণ ফলন হয় সরিষার, যা বর্তমান বাজারে বিক্রি হয় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা।
প্রতি ৩৩ শতাংশ জমিতে ১ কেজি সরিষার বীজ প্রয়োজন হয় সরিষা চাষীর। মাটি তৈরি করতে গরুর গোবর ১০ কেজি ডিএপি ১০ কেজি পটাস আর ১০ কেজি ইউরিয়া রাসায়নিক সার দিয়ে জমি তৈরি করে কৃষকেরা। আবার অনেক চাষী প্রতি৩৩ শতাংশ শতাংশ জমিতে ২০ কেজি ইউরিয়া দিয়ে থাকেন, যাতে করে পরবর্তীতে বোরো চাষে তাদের আর ধান চাষে ইউরিয়া দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। এতে করে সরিষার ফলন ভাল হবে এবং ইরি চাষে আগাম জমি তৈরি হয়ে যাবে।
হাকিমপুর উপজেলার নওনা পাড়া গ্রামের কৃষক সরিষা চাষী আকরাম হোসেন বলেন, গত বছর তিনি ৩৩শতাংশ জমিতে সরিষা চাষ করেছিলেন। এবছর আমন ধান কেটে, ৫০শতাংশ সরিষার চাষ করেছেন। আল্লাহ দিলে এবার সরিষার ভাল ফলন পাবো।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা জানান, উপজেলায় এই মৌসুমে ৮২৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করেছেন কৃষকরা। গত বছর ৮২০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছিলো।
প্রতি বারের মতো এইবারও আমরা সরিষা চাষীদের মাঝে বিনামূল্যে রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ করেছি। এবছর উপজেলার ৩৮০ জন কৃষককে ১ কেজি সরিষার বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি পটাস সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে সরিষা চাষীদের । কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা ও সেবা দিয়ে আসছেন প্রতিটি কৃষি সংশ্লষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অন্য বছরের চেয়ে এবছর সরিষার বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।