28 C
Dhaka
Sunday, March 26, 2023

ভালো নেই ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য; অভিযোগ ভুক্তভোগীদের

ঈশ্বরদী প্রতিনিধিঃ ঈশ্বরদীতে রুগ্ন আর জরাজীর্ন পরিবেশ নিয়ে অর্ধমৃত অবস্থায় ভালো নেই ৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ্য ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ময়লার ভাগারের ন্যায় টয়লেট আর জোড়াতালির নোংড়া বেডশিট বিহীন বেড এ যেন দীর্ঘ দিনের চিত্র। সব মিলিয়ে ভালো নেই ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য, রুগী নয় হাসপাতালের চিকিৎসা দরকার বলে দাবি করেছেন ভুক্ত ভোগীরা।

ভালো নেই ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য; অভিযোগ ভুক্তভোগীদের

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানির ট্যাপ বিহীন দূর্গন্ধময় টয়লেটে যেন এক বছরেও ছোয়া দেয়নি কোন পরিচ্ছন্নতা কর্মী। হাতল আর লক বিহীন দরজায় নিজেস্ব পাহারাদার নিয়ে প্রবেশ করতে হয় ভুক্তভোগী ব্যবহার কারীদের। দরজা কোন ধরনের আটকানোর ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিনিয়তই টয়লেটের দুর্গন্ধ ভরপুর থাকে হাসপাতালের কেবিন সমূহে। ময়লার কারুকার্য ভরা দাগ লাগানো বিছানা থাকলেও নেই কোন বিছানার চাদর। তার মধ্যেই নিরুপায় অসুস্থ মানুষ গুলো চিকিৎসার জন্য এসে নার্সদের তোপের মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভালো নেই ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য; অভিযোগ ভুক্তভোগীদের

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক রোগীর স্বজন জানান, এটা নামে মাত্র সরকারী হাসপাতাল। সরকারী নিয়মানুযায়ী কোন স্বাস্থ্য সেবাই এখানে মিলে না। হাসপাতালের টয়লেট দেখলে মনে হয় এটা কোন ময়লার ভাগার। বিশ্রী দুর্গন্ধে যে কোন সুস্থ মানুষই এখানে অসুস্থ হয়ে যাবে নিশ্চিত।

আরেক জন বলেন, নোংড়া হলেও বিছানা আছে কিন্তু বিছানার চাদর নেই। হাত ধোয়ার জরাজীর্ন বেসিন আছে কিন্তু তাতে কোন পানির ট্যাপ নেই। ঔষধ তো দুরের কথা সামান্য সিরিঞ্জটাও আমাদের কিনে দিতে হয়। সর্বোপরি রোগীর স্বাস্থ্য যেমন তেমন হাসপাতালের নিজের স্বাস্থ্যই ভালো নেই।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.এফ এ আসমা খান জানান, হাসপাতালে প্রচুর চোরের উপদ্রব বেড়েছে, আমরা হাসপাতালে পানি ব্যবহারের জন্য যতগুলো ট্যাপ লাগাই তা তৎক্ষনাৎ চুরি হয়ে যায়। বিষয় গুলো নিয়ে আমরাও বিপাকে আছি।

তিনি আরও জানান, টয়লেট পরিস্কার করার জন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীর অভাব রয়েছে, কারন আমাদের একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর করোনা পজেটিভে এসেছে। আর বিছানার চাদর পর্যাপ্ত রয়েছে কিন্তু সেগুলো পরিস্কার নেই। কারন বিছানার চাদর গুলো পরিস্কারের দ্বায়িত্ব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের। আর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তাদের খেয়াল খুশি মত পরিস্কারের জন্য এগুলো নেয় এবং পরিস্কার করে দেয়।  হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে তাদের বার বার তাগাদা দিয়েও ফল মেলেনি।

ঔষধ আর সিরিঞ্জ সম্পর্কে তিনি বলেন, মাঝে মাঝে ফুড়িয়ে গেলে তৎক্ষনাৎ প্রয়োজনে রুগীর অভিভাবকদের আনতে বলা হয় তবে সেটা নিয়মিত নয়। তবে বিষয় গুলো পুনরায় যেন না হয় সেগুলো দেখবেন বলেও তিনি আশা ব্যাক্ত করেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

Leave a Reply

লেখক থেকে আরো